আপনি ব্লগার বটে কিন্তু ব্লগ এর নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন নয় , তাই আমরা আপনার সাইটটি হ্যাক করতে বাধ্য হলাম । আপনাকে নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন হওয়ার জন্য বলা হল । আপনার সাইটটি কিছু দিনের মধ্যেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে ।

১১.০৩.২০১৩

অনলাইনে ওয়েবসাইট হোস্টিং ব্যবসা করে আয় করবেন যেভাবে ।

অনলাইনে ওয়েবসাইট হোস্টিং ব্যবসা করে আয় করে লাভবান হচ্ছেন অনেকে। ওয়েবসাইট হোস্টিং সফটওয়্যার এবং ওয়েবসাইট হোস্টিং টেকনোলজি সম্পর্কে জেনে যে কেউ শুরু করতে পারেন এ ব্যবসা থেকে অনলাইনে আয় করতে পারেন ।

অনলাইনে ওয়েবসাইট হোস্টিং ব্যবসার জন্য চাই ধৈর্য। গ্রাহকদের চাহিদামতো সেবা দিতে পারলে এ ব্যবসায় উন্নতি করা যায়। অনলাইনে ওয়েবসাইট হোস্টিংয়ের ব্যবসা করা প্রতিষ্ঠান ‘হিটস্ বিডি লিমিটেড’-এর কর্ণধার সাজ্জাদ রহমান বলেন, ‘গ্রাহকরা চায় ২৪ ঘণ্টার সেবা। গ্রাহকদের চাহিদা মাথায় রাখার পাশাপাশি ব্যবসা শুরু করার আগে হোস্টিং সফটওয়্যার ও সার্ভার সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় জ্ঞান থাকতে হবে।’ হোস্টিং ব্যবসার জন্য ডোমেইন, হোস্টিং, ওয়েবসাইট, বিলিং সফটওয়্যার, মার্কেটিং প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগ করতে হয়।
ডোমেইন এবং ওয়েবসাইট
গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য হোস্টিং ব্যবসায় সুন্দর একটি নাম দরকার। ব্যবসার জন্য লাগবে একটি ওয়েবসাইট। পুরো ব্যবসার কাজ হবে ওয়েবসাইট থেকে। নিজে ওয়েব ডিজাইনার হলে নিজের সাইট নিজেই ডিজাইন করে নেওয়া যায়। যেকোনো কম্পানি থেকে ওয়েব ডিজাইন করতে খরচ পড়বে ২০০-১০০০ ডলার। ২০-২০০ ডলার খরচ করেও ডিজাইন করিয়ে নেওয়া যায়। তবে সে ক্ষেত্রে ডিজাইনটি তেমন আকর্ষণীয় হয় না। খেয়াল রাখতে হবে, নিজের ওয়েবসাইটের ডিজাইনটি যেন অন্য কেউ নকল করতে না পারে।
হিসাব রাখবে বিলিং সফটওয়্যার
হোস্টিং ব্যবসায় বিলিং সফটওয়্যার থাকলে ব্যবসার হিসাব রাখতে সুবিধা। এতে পেমেন্ট অটোমেশন সুবিধা যোগ করলে টাকা পরিশোধ করার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের হোস্টিং অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে ই-মেইলে তথ্য চলে আসবে। বিলিং সফটওয়্যার যারা রিসেলার হোস্টিং, ভিপিএস, ডেডিকেটেড সার্ভারের সঙ্গে ফ্রি দেয় তাদের থেকে পাওয়া যায়।
বিলিং সফটওয়্যার ভেন্ডর সাইট থেকেও কিনতে পারে যে কেউ। সফটওয়্যার কিনলে মাসিক লাইসেন্সের জন্য খরচ হবে ১৩-১৬ ডলার। এককালীন টাকা দিয়ে কিনলে লাগবে ২৫০-৩৫০ ডলার।
রিসেলার হোস্টিং, ভিপিএস ও ডেডিকেটেড সার্ভার
ব্যবসার জন্য রিসেলার হোস্টিং, ভিপিএস অথবা ডেডিকেটেড সার্ভার কেনা যায়। রিসেলার হোস্টিং প্যাকেজে সাধারণত ৫-৫০ জিবি পর্যন্ত পাওয়া যায়। কিনতে বছরপ্রতি ৩৫০০-২৫০০০ টাকা খরচ হয়। কেমন সেবা দেওয়া হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে মূল্য নির্ধারিত হয়। ভিপিএস কিনলে মাসে লাগবে ৪০০০-৫০০০ টাকা। ডেডিকেটেড সার্ভারের জন্য মাসপ্রতি ১৫০০০-২৫০০০ টাকা খরচ হয়। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা হোস্টিং ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাদের সার্ভার ব্যবহার করতে দেয়।
ব্যবসার প্রচারণা
শুরুতে বাসায় থেকেই ব্যবসা পরিচালনা করা যায়। অফিস ভাড়া নিলে প্রতি মাসে খরচ হবে ১০-২০ হাজার টাকা। সাজসজ্জায় ৫০ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে। প্রচারণার জন্য জনপ্রিয় বাংলা ব্লগগুলোত বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়। ফেসবুক, গুগল প্লাস প্রভৃতি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বিজ্ঞাপন দিয়েও প্রচারণা করা যায়। কম্পিউটার, ম্যাগাজিন ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলে ৩৫০০-১৫০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পোস্ট টি দেখার জন্য ধন্যবাদ। কেমন লাগলো কমেন্ট এ জানান, কোন প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন।